কৃষ্ণ লাভে
শাস্ত্র
--- ভূপেন্দ্র দাস।
কাব্য কোকিল ডাকলে কেন,
শাস্ত্র শিকোয় উঠবে?
তালি দেওয়া কথার কদর,
ফাগুন কেন টুটবে?
বসন্ত কাল আগমনে,
গন্ধবহের, ছন্দ-গতি।
ললিত সুরে গীত করে,
ভাব রসিকে, প্রেম-গীতি।
রসরাজে, কেমন সাজে,
গোপী সনে করেছে রাস!
মাধুর্য রস, লীলা কথা,
বৃন্দাবনের, শ্যাম ইতিহাস।
কেমন করে, রাখাল রাজা,
বেণু বাজায় কদম তলে।
কী কৌশলে, ভানু সুতা,
জল ফেলেছে, জলের ছলে।
ঘড়া কোলে, ত্বরা চলে;
বংশী-ধারীর অংশী ভাবে।
কুলে ভুলে, কদম তলে,
রাই, মাধবের সঙ্গ নিবে!
ব্রজ-বালা, নিজ ভোলা;
শ্যামের প্রেমের সুখ লাভে।
শ্যাম চরণে, যায় ম্মরণে;
উজার করে সকল দিবে।
মোহন বেণুর ললিত সুরে,
বান ডেকেছে, প্রেম যমুনায়;
শুদ্ধ ভাবে, প্রীতি লাভে,
ঘড়া ভরি' জল নিলে, আয়।
বাজায় বেণু, চরায় ধেনু;
গোকুল গোঠে, রাখাল শ্যাম।
প্রেমের ছলে, সাধন বলে,
ঠাঁই নিল রাই, শ্যামের বাম।
এই যুগলে, সাধন হলে,
সাধক চলে, গোলক ধাম।
জন্ম, মৃত্যু, বারণ করে,
অজপা, গোবিন্দ নাম;
গাড়ি, বাড়ি, নারী লাভে;
ভবে আসার কি'বা কাম?
ভূপেন্দ্র কয়, তত্ত্বকথা,
এই পর্যন্ত করি ক্ষান্ত;
কথার পরে কথা বাড়ে,
কৃষ্ণ কথার হয় না অন্ত।
শ্যাম-চরণে, দীন মনে,
দূর থেকে, করি প্রণাম।
অপরাধ! অনেক হয়েছে;
শিষ্ট গণে কষ্ট দিলাম!
বিরাজিত সাধু যত,
জুড়িয়া গোকুল ধাম।
সবার কাছে ক্ষমা চাহি,
জানি না সকলের নাম!
জয়চাঁদ গোঁসাই, মন্ত্র দিছে;
তাঁর চরণে, রয় প্রণাম।
জয়চাঁদ বলে--, "সাধু হলে;
ভাব রসে কাপটিক ধাত।
নিপুণ ভাবে করে তবে,
লোক দেখানো প্রণিপাত!
ভক্তি ছাড়া দেয়না ধরা,
কৃষ্ণ চন্দ্র জগন্নাথ।
জীবন ধর্ম সকল কর্ম;
শাস্ত্র কথার মর্ম ভাবে,
পালন প্রয়াস অনিবার্য্য;
অনাদি নাথ কৃষ্ণ লাভে।"
-------------<+>--------------
0 comments:
Post a Comment